বাড়িঅনীশ

অনীশ

অনীশ

অসুস্থ মিসির আলি ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। সেখানেই ঘটনাচক্রে পরিচয় হয় রূপা নামের এক মহিলার সাথে। রূপা তার জীবনের এক বিচিত্র কাহিনী লিখা ডায়রি দেন মিসির আলিকে পড়তে। ডায়রি পড়ে মিসির আলি জানতে পারেন। পিতা ছাড়া রূপা বড় হয়েছে তার মায়ের সাথে। তার মা ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন। কলেজে পড়ার সময় রূপা মার সাথে রাগ করে ৫ দিন তার বান্ধবীর বাড়িতে লুকিয়ে থাকে। ৫ দিন পরে বাড়ি ফিরলে মা রূপাকে ইমোশনালি ব্ল্যাক মেইল করে আগে থেকে ঠিক করে রাখা এক এতিম ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।

ছেলেটি বিয়ের পরেই রূপাকে অবিশ্বাস করতে শুরু করে। ৫ দিন রূপা কোথায় ছিল সেটাই তার সন্দেহের কারণ। বিয়ের দু’মাস পরেই রূপা পেগনেন্ট হয়। তার স্বামী সন্দেহ করে এই সন্তানের পিতা অন্য কেউ। তার স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। বলে যায় বাচ্চাটা মারা গেলে সে ফিরে আসবে। বাচ্চাটা জন্মের পরে রূপা খুব অসুস্থ হয়ে পরে। কিছুদিনের মধ্যেই তার বাচ্চাটা মারা যায়। কিন্তু এরপর থেকেই রূপা তার মৃত বাচ্চার কান্না শুনতে পারে। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকে। বছর খানেক পরে রূপা তার মৃত বাচ্চার মা ডাক শুনতে পায়। বছর তিনেক পরে বাচ্চাটির কথা শুনতে পায়।

মিসির আলি এতটুকু পড়েই বুঝতে পারে রূপার বাচ্চাটি জীবিত আছে। রূপার মা কোথাও বাচ্চাটিকে লুকিয়ে রেখেছেন। বিচিত্র কোন কারণে রূপা আর তার বাচ্চার মধ্যে একধরনের টেলিপ্যাথি যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। মিসির আলির বক্তব্য শুনে রূপা তার বাচ্চাটিকে খুঁজে পায়।

Read online or Download this book
হুমায়ূ়ন আহমেদ

হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। মিসির আলি এবং হিমু তার সৃষ্ট অন্যতম দুটি জনপ্রিয় চরিত্র।

তার রচিত উপন্যাস সমূহের মধ্যে রয়েছে— মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া, লীলাবতী, কবি, বাদশাহ নামদার ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ

আরও বই